কর্মসূচিতে বৃহত্তর নোয়াখালী বিএনপির নেতা-কর্মীরাও ছিলেন। বাংলাদেশের সরকার উৎখাতে ‘ইসরায়েলের সঙ্গে ষড়যন্ত্রে’র অভিযোগে ১৫ মে বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মানববন্ধন শেষে এক সমাবেশে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি দেলোয়ার হোসেন বলেন, “আসলাম চৌধুরীসহ বিএনপির সকল নেতা-কর্মীকে মুক্তি এবং দায়ের করা সকল মামলা বিনা শর্তে প্রত্যাহারের পরই কেবলমাত্র নির্বাচনের পথ সুগম হতে পারে। অন্যথায় জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণের ব্যাপারটি অনিশ্চিত থেকে যাবে।“লন্ডনে চিকিৎসাধীন বিএনপি নেতা তারেক রহমানের নামে সরকার যেসব বিষোদগার করছে, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির সংবাদ প্রকাশ করে বিশ্ববাসীর কাছে সরকার নিজেই নিজেকে প্রশ্নের সম্মুখীন করছে। আশা করছি,সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে এবং তারেক রহমানের বিরুদ্ধে চলমান ষড়যন্ত্র থেকে সরকার সরে দাঁড়াবে।”
সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল হুমকি দিয়ে বলেন, “আসলাম চৌধুরীকে কারাগারে রেখে বিএনপি নির্বাচনে যেতে পারে না। প্রয়োজনে আমরা জাতিসংঘ ও হোয়াইট হাউজে মানববন্ধন করবো।”
যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক সম্পাদক এম এ বাতিন বলেন, “বেগম জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি আজ ঐক্যবদ্ধ। ঐক্যের এই ধারাকে এগিয়ে নিয়ে সামনের নির্বাচনে বিএনপিকে অবশ্যই জয়ী করতে হবে। রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েই সরকারের দমন-পীড়নের জবাব দিতে হবে।”সমাবেশে বক্তব্য দেন আবুল বাশার,মাহফুজুল মাওলা নান্নু,মাজহারুল ইসলাম জনি,আবু সুফিয়ান,জাহাঙ্গির সোহরাওয়ার্দি প্রমুখ। বক্তারা সরকারের বিরুদ্ধে লাগামহীন দুর্নীতি এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিদেশে পাচারের অভিযোগও করেন। এ ব্যাপারে তারা আন্তর্জাতিক তদন্ত দাবি করেন।